Read it in English | গবেষক এবং প্রতিবেদক: তানজিল ফুয়াদ ইসফাকুল কবির |
২০০৯ সালের দিকে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপন ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ প্রথম টেলিভিশনে প্রচারের পরপরই সাড়া ফেলে দর্শকমহলে। একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের ‘থিম সং’ থেকে দেশের বাড়ি ফেরা মানুষের ‘থিম সং’–এ হয় গানটি। গানটির সুরও সংগীতায়োজন করেছিলেন হাবিব ওয়াহিদ।
জীবিকার তাগিদে দেশের কোটি মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা আসে, তাই বাড়ি ফেরার আমেজটা ঢাকায় থাকা মানুষের জন্যে বেশি চমকপ্রদ। মানুষের এই ইমোশনকে ধরতেই গ্রামীণফোন আজ থেকে ১৫ বছর আগে বানিয়েছিল এই গানটি। যা কোটি মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে এখনও।
বাঙালিরা সংস্কৃতির প্রতি বেশ আবেগপ্রবণ। আর এই আবেগ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ‘গান’।। যেমন ধরুন ও ‘মোর রমজানের ও রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এই গানটি ছাড়া যেন আমাদের ঈদ পূর্ণতা পায় না। অন্যদিকে আমাদের বৈশাখ যেন অপূর্ণ থেকে যায় যদি আমরা ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটা না শুনি। ঠিক তেমন ভাবেই আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি। যা বিশেষ করে ঈদে ঘর মুখো মানুষের ঈদ আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়।
মানুষ যখনই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে অনেকেই লিখছেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’। কেউবা গানটি শেয়ার করে তার অনুভূতির কথা জানায়। আর দর্শক শ্রোতাদের গানটির প্রতি ভালোবাসা দেখে গানের শিল্পী মিলন মাহমুদও খুশি হন। এই সম্পর্কে তিনি বলেন, “একটা গান যুগ যুগ ধরে টিকে আছে, এটা অনেক আনন্দের বিষয়। গানের অংশ হিসেবে আমি শ্রোতাদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
পরবর্তীতে গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ বিজ্ঞাপন হিসেবে ছাড়েন। তবে এবার গানটিতে কণ্ঠ দেন শিল্পী মিঠুন চক্র। বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আসলে দুইটি গানের শিরোনাম একই হলেও গানের কথা একদম আলাদা। তবে গানটির সুরে কিছুটা মিল রয়েছে। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান দিয়ে গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিঠুন চক্র।
দেশের সাধারণ আম-জনতা গানটিকে আপন করে নিয়েছে। আর এভাবেই গ্রামীণফোন তাদের ব্যবসায়িক সাফল্য ও ধরে রাখতে পেরেছে। তারা জানে মানুষ কোন জিনিস নিয়ে চিন্তিত। কোন ব্যাপারটা মানুষ পছন্দ করে। আর আমরাও চাই এভাবেই কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকুক ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি।
Comments