বিসনেস স্ট্রাটেজিস

জেন জিঃ ব্যবসার ক্রেতা হিসাবে যার ভূমিকা বর্তমানে সর্বাধিক

0
Read it in English গবেষক এবং প্রতিবেদক: তানজিল ফুয়াদ আনিকা তায়্যিবা

জেনারেশন জি কারা

জেনারেশন জি বলতে তাদের বোঝায় যারা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণ করেছে। বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপভোক্তা এবং চালিকা শক্তি তারা।  ডিজিটাল যুগে জন্মগ্রহণ করা জেন জি দের প্রযুক্তির সাথে সম্পর্ক খুবই গভীর। এদের অভ্যাস, মূল্যবোধ, এবং সামাজিক মানসিকতা বোঝা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বর্তমান সময়ে লাভবান হতে হলে জেন জি-দের কেই আপনার ব্যবসার মূল টার্গেট ক্রেতা হিসাবে বেছে নিতে হবে।

জেনারেশন জি-এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য

  • ডিজিটাল জ্ঞান: এই প্রজন্ম প্রযুক্তির সাথে বড় হয়েছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট, এবং স্মার্টফোনের ব্যাপারে অত্যন্ত দক্ষ।
  • স্বাধীনতা এবং উদ্যোক্তা মানসিকতা: জেন জি স্বাধীন চিন্তা পছন্দ করে এবং নিজস্ব ব্যবসা বা উদ্যোগ শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহী।
  • সামাজিক এবং পরিবেশগত সচেতনতা: তারা সামাজিক এবং পরিবেশগত ইস্যুগুলোতে অনেক বেশি সচেতন। জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং বৈচিত্র্যের প্রতি তাদের মনোভাব খুবই শক্তিশালী।
  • শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্ব দেয়: তারা মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।

জেন জি এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য যা তাদের চিন্তাধারা ও কেনাকাটার অভ্যাসকে আলাদা করে তোলে। | ছবি সংগৃহীত।

প্রযুক্তি এবং মিডিয়ায় এগিয়ে জেনারেশন জি 

জেনারেশন জি প্রযুক্তি এবং মিডিয়ার ব্যবহারে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা খবর ও বিনোদন গ্রহণ করে। ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এবং টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে তারা বেশ সক্রিয়। এছাড়াও পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এ বেশ পারদর্শী এই প্রজন্ম। তারা নিজেদের অনন্য পরিচিতি গড়ে তুলতে চায়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর মতামত প্রকাশ করতে পছন্দ করে এই জেনারেশনের ছেলে মেয়েরা। বিনোদনের নতুন ধরন হিসেবে তারা ব্যবহার করে নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই, এবং গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো, যা তাদের বিনোদনের প্রাথমিক মাধ্যম।

ব্যবসার প্রসারে জেনারেশন জি এর সাথে কীভাবে সংযোগ স্থাপন করবেন?

  • ডিজিটাল মাধ্যমকে প্রাধান্য দিন: সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকুন। বিশেষ করে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন যা আকর্ষণীয় এবং শিক্ষামূলক।
  • সত্যনিষ্ঠা বজায় রাখুন: জেন জি প্রকৃত বিষয়বস্তু পছন্দ করে। তাদের সাথে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করুন। কোম্পানির মূলনীতি বা উদ্দেশ্য পন্যের গুনগত মানকে ধরে রাখলে যেকোনো ব্রান্ডই আস্থা অর্জন করতে পারে।  
  • সামাজিক এবং পরিবেশগত দায়িত্বকে গুরুত্ব দিন: তাদের আগ্রহের বিষয়গুলোকে সামনে রেখে আপনার প্রচারাভিযান বা মার্কেটিং পরিচালনা করুন।

তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন
আপনার ব্র্যান্ডের বা প্ল্যাটফর্মের জন্য এমন কৌশল তৈরি করুন যেখানে তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ব্যবসার প্রসারে জেন জি এর সাথে সংযোগ স্থাপনের কার্যকর উপায়। | ছবি সংগৃহীত।

জেনারেশন জি-এর বৈশিষ্ট্য এবং আচরণগুলো বোঝা এবং তাদের সাথে সঠিক উপায়ে যোগাযোগ করা যেকোনো ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে ব্র্যান্ডের বেচা বিক্রি, প্রচার প্রসার উভয়ই বাড়ে। তাদের সাথে সংযোগ স্থাপনে তাই উদ্যোক্তাকে হতে হবে প্রযুক্তিগত কৌশল, সামাজিক সচেতনতা, এবং সত্যনিষ্ঠায় পারদর্শী। এছাড়াও উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর উপরও জোর দিতে হবে।

“তথ্যসূত্র”

সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনে বাংলাদেশের শীর্ষ লাক্সারি ব্র্যান্ড ইল্লিয়েনের উত্থান

Previous article

ডেটা প্রাইভেসি: আধুনিক ব্যবসার অপরিহার্য অংশ

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *