গবেষক এবং প্রতিবেদক: তানজিল ফুয়াদ আনিকা তাহসিন
আইফোন ১৬ সিরিজে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী এ১৮ প্রসেসর। এ ছাড়া আইওএসের সর্বশেষ সংস্করণ আইওএস ১৮ ব্যবহারের সুযোগ মিলবে নতুন আইফোনে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী নতুন চমক নিয়ে অপেক্ষা করছে আইফোনের নবীনতম সংস্করণ-
১। উন্নত ক্যামেরা ও ভিডিও কোয়ালিটি-
এটা প্রচলিত যে ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই আইফোন ব্যবহার করে থাকেন মূলত এর উন্নত মানের ক্যামেরা কোয়ালিটি এবং ভালো ভিডিও মানের জন্য। তাই বরাবরই অ্যাপেল তাদের প্রত্যেক ভার্সনে আইফোনের ক্যামেরাকে কিছুটা উন্নত করে বাজারে আনে। এবারও ব্যাতিক্রম ঘটেনি। নতুন আইফোন ১৬ এই বছরে তাদের ব্যাক ক্যামেরাগুলো আরও উন্নত করেছে। ফোনের পেছনের অংশে খাড়া আকৃতির দ্বৈত ক্যামেরা রয়েছে যা দেখতে অনেকটা আইফোন ১১ ও আইফোন এক্সের মতো হলেও নকশায় আছে নতুনত্ব ও আধুনিকতা। ব্যবহারকারীরা কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে পারবেন, পাশাপাশি আরও স্পষ্ট এবং বেশি পিক্সেলযুক্ত ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা বেশি বড় বা জুম করে ছবি তোলার সুবিধাও পাবেন।
২। ডিসপ্লে-
আইফোন ১৬ এর ডিসপ্লেতে নতুন কোনো বড় পরিবর্তন আসেনি, তবে নতুন মডেলগুলিতেও আছে ১৬.৬:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিও। যদিও প্রো মডেলগুলিতে রয়েছে অধিকতর উজ্জ্বল ও এল ই ডি ডিসপ্লে। এছাড়াও, গুগল এবং স্যামসাংয়ের মত অ্যাপল তাদের ক্যামেরায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই) সংযুক্ত করেছে যা স্বয়ংক্রিয় ছবি এডিটিং এর কাজ করবে বলে জানা গেছে।
৩। নতুন ডিজাইন-
অ্যাপলের নতুন ফোনগুলোর ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন এবং নতুন রঙ যুক্ত হয়েছে। এর মাঝে সবচেয়ে নজরকাড়া হল আইফোন ১৬ প্রো মডেলগুলোতে নতুন “ডেজার্ট টাইটানিয়াম” রঙ। এছাড়াও সাদা, কালো, নীল, সবুজ ও গোলাপি—এই পাঁচ রঙে বাজারে এসেছে আইফোন। এই মডেলগুলোতে আরও উজ্জ্বল রঙ যুক্ত করা হয়েছে।
৪। নতুন ক্যাপচার বোতাম
নতুন আইফোন এর যেই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে তা হলো “ক্যাপচার” বোতাম, যা ১৬ সিরিজের সকল মডেলে পাওয়া যাবে। এটি ক্যামেরা ব্যবহারকে আরও সহজ করেছে। এতে করে স্ক্রিনে টাচ করার পরিবর্তে অথবা ভলিউম বোতাম ব্যবহার ছাড়াই ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া যাবে। এই বোতামের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা টাচ, সোয়াইপ, বা প্রেস করে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই বোতামের মাধ্যমে জুম কন্ট্রোল বা ফোকাস করার সুবিধা পাওয়া যাবে।
৫। অ্যাপল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং প্রসেসর-
আইফোন ১৬ প্রো মডেলগুলোতে এ১৮ প্রো প্রসেসর রয়েছে, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় দ্রুতগতির ও আরও উন্নত নিউরাল ইঞ্জিনযুক্ত। এটি অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ফিচারগুলো পরিচালনা করতে সক্ষম। অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স হলো অ্যাপল এর নিজস্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই) প্রযুক্তি, যা ব্যাবহারকারীদের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আইফোন ১৬ মডেলটির প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে ৭৯৯ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মূল্যে ৯৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। যদি অ্যাপল তার স্বাভাবিক ধারা অনুসরণ করে, তাহলে আইফোন ১৫ এবং আইফোন ১৪ এর দাম এক্ষেত্রে কমতে পারে।
Comments