ফিনান্সিয়াল মার্কেটস

কীভাবে বাংলাদেশিরা বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন

0
Read it in English গবেষক এবং প্রতিবেদক: তানজিল ফুয়াদ আনিকা তায়্যিবা

ব্যবসা বাণিজ্য বিস্তারের জন্য দেশে নয়, বিদেশেও বিনিয়োগ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বাংলাদেশিরা বৈশ্বিক বাজারের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি কিছু নির্দিষ্ট শর্ত এবং ঝুঁকি নিয়ে আসে।  সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সহজেই এটি মোকাবেলা সম্ভব। চলুন জেনে নিই কীভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করার ধাপ, প্রয়োজনীয়তা এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো-

কেন বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন?

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনি পেতে পাবেন বৈশ্বিক বাজারের লেনদেনের সুযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি ব্যবসার ঝুঁকি কমাতে পারেন। বিদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ।

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগের কারণ ও এর সম্ভাব্য উপকারিতা সম্পর্কে একটি চিত্র।

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও এর মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় আর্থিক লাভের সুযোগ। | ছবি সংগৃহীত।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করার ধাপ

১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহঃ

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার প্রয়োজন বৈধ পাসপোর্ট, পরিচয় এবং জাতীয়তার প্রমাণ, বাসস্থানের প্রমাণপত্র এবং ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট যা আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হবে।

২. বাজার সম্পর্কে গবেষণা করাঃ 

আগেই বৈশ্বিক শেয়ারবাজার এবং শিল্প বাণিজ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরী। কোম্পানিগুলোর আর্থিক কাঠামো এবং বাজার প্রবণতা সম্পর্কেও জানুন। এক্ষেত্রে ইয়াহু ফাইন্যান্স, ব্লুমবার্গ, এবং ব্রোকার এর মতো ওয়েবসাইটের বিশ্লেষণ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

৩. উপযুক্ত ব্রোকার নির্বাচন করাঃ

লেনদেনের ক্ষেত্রে এমন ব্রোকার নির্বাচন করুন যারা আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা দেয়।এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হলো: ইন্টারঅ্যাকটিভ ব্রোকারস, চার্লস শোয়াব, ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টস।

৪. ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট খুলুনঃ

ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট হলো যেই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি বিদেশে লেনদেন করবেন, এর জন্য:

– ব্রোকারের ওয়েবসাইটে যান এবং আবেদনপত্র পূরণ করুন।

– পাসপোর্ট, বাসস্থানের প্রমাণপত্র এবং ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর জমা দিন।

– আপনার স্থানীয় ব্যাংক থেকে অর্থ স্থানান্তর করে অ্যাকাউন্টে জমা করুন।

৫. বিনিয়োগ শুরু করুনঃ

একবার অ্যাকাউন্ট ঠিকঠাক হয়ে গেলে বিনিয়োগ শুরু করুন। শুরুতে আপনার পছন্দের শেয়ার বা ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড) চিহ্নিত করুন। পরে ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনার অর্ডার দিন। আপনার বিনিয়োগ এবং বাজারের প্রবণতা নজরে রাখুন। সেই অনুযায়ী লেনদেন করুন।

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ শুরু করার উপায় নিয়ে নির্দেশিকা চিত্র।

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ শুরু করার সহজ পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য লাভের দিকনির্দেশনা। | ছবি সংগৃহীত।

এসব সহজ ধাপ অনুসরণ করেই বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক সেবা প্রদানকারী ব্রোকারের মাধ্যমে বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে, নিয়ম মেনে এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া জরুরি। নতুবা আর্থিক খাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

বিদেশি শেয়ারে বিনিয়োগ বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুযোগের দ্বার খুলে দেয়। যদিও প্রক্রিয়াটি কিছু সময়সাধ্য এবং অনেক কিছু শেখার প্রয়োজন রয়েছে, তবে বিদেশে বিনিয়োগের বিচক্ষন সুযোগ আপনার জন্য উল্লেখযোগ্য সুফল বয়ে আনতে পারে।

“তথ্যসূত্র”

কেন বাংলাদেশে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো হিমশিম খাচ্ছে?

Previous article

কেন বিনিয়োগে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ?

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *