ইনফরমেশন টেকনোলজি

জাতিকইজি: অনলাইন ব্যাবসার সাশ্রয়ী প্লাটফর্ম

0
Read it in English গবেষক এবং প্রতিবেদক: তানজিল ফুয়াদ আয়শা মারিয়া

জাতিকইজি হলো একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। গ্রোসারি আইটেম থেকে শুরু করে ফ্যাশন, ইলেকট্রনিক্স  এবং সকল প্রকারের পণ্য আপনি খুঁজে পাবেন জাতিকইজি তে। জাতিকইজি -এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। এছাড়াও অনলাইনে কোনো রকম জটিল প্রক্রিয়া ছাড়াই আপনি জাতিকইজি -তে নিজের দোকান খুলতে পারবেন।

আপনি যদি এফ কমার্স, ই-কমার্স এবং অনলাইন ব্যবসায়ীদের একটি  সফল ব্যবসা দাঁড় করাতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসায় এই ৩টি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে- ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং পেমেন্ট ইন্টিগ্রেশন সিস্টেম।

এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে বা কাস্টমাইজ করতে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ ১০ দিনে ১৭০০০ টাকা, ওয়েবসাইট ডেভলপিং এ ১৫ দিনে ৬০০০০টাকা, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এ ১৪০০ টাকা, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট এ ১৮০০টাকা এবং পেমেন্ট ইন্টিগ্রেশন এ ১৫০০০ টাকা অর্থাৎ বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ আপনাকে খরচ করতে হবে।

তবে আপনি কিন্তু চাইলেই এতসব খরচ কে পাত্তা না দিয়ে উপরে উল্লেখিত সব ধরনের সুবিধা পেয়ে যাবেন “জাতিকইজি” অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করেই। “জাতিকইজি” দিয়ে আপনি মাত্র ১০ সেকেন্ডে এবং ৫০০ টাকা দিয়েই ঝামেলাহীনভাবে আপনার ব্যবসার জন্য পেয়ে যাবেন একটি ডিজাইনড এবং ডেভেলপড ওয়েবসাইট। এছাড়াও সাথে থাকছে বাকি সকল সুবিধাও। জাতিকইজি ছোট-বড় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা বা যে কেউ যারা তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইন এ সেল করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।

চলুন জেনে আসি জাতিকইজি তে আপনি কিভাবে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বা আপনার অনলাইন  ব্যবসাটি চালু করতে পারবেন-

জাতিকইজিতে কিভাবে পণ্য বিক্রি করবেন?

জাতিকইজি ব্যবহার করে খুব সহজেই পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এখানে ধাপে ধাপে জানিয়ে দেওয়া হলো:

জাতিকইজিতে পণ্য বিক্রির ধাপসমূহ দেখাচ্ছে একটি নির্দেশনামূলক চিত্র।

জাতিকইজিতে সহজে পণ্য বিক্রির পদ্ধতি। | ছবি সংগৃহীত।

১. অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন:

প্রথমে আপনাকে জাতিকইজি ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্টটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন- নাম, ইমেইল, ফোন নম্বর প্রভৃতি দিয়ে নিজের প্রোফাইল রেজিস্টার করুন।

২. আপনার দোকান সেটআপ করুন:

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর, আপনার অনলাইন দোকান সেটআপ করতে পারবেন। আপনার দোকানের নাম, লোগো এবং বিবরণ যোগ করুন।

৩. পণ্য যোগ করুন:

আপনার দোকানে পণ্য যোগ করুন। প্রতিটি পণ্যের জন্য পণ্যের নাম, বিবরণ, মূল্য, ছবি এবং পণ্যের স্টক পরিমাণ উল্লেখ করুন।

৪. পেমেন্ট সেটআপ করুন:

আপনার গ্রাহকরা কীভাবে পেমেন্ট করবেন তা নির্ধারণ করুন। আপনি ক্যাশ অন ডেলিভারি, বিকাশ, রকেট, নগদ, বা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে, যেমন- SSL কমার্স ব্যবহার করতে পারেন।

৫. শিপিং সেটআপ করুন:

আপনার পণ্য কীভাবে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাবে তা নির্ধারণ করুন। এখানে আপনি নিজে ডেলিভারি করতে পারেন অথবা কোনো কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন।

৬. আপনার দোকান প্রকাশ করুন:

একবার আপনার দোকান সেটআপ হয়ে গেলে, আপনি এটি প্রকাশ করতে পারেন এবং তখন আপনার দোকান অনলাইনে ইতোমধ্যে  লাইভ হয়ে গেছে।

৭. অর্ডার পরিচালনা করুন:

আপনার দোকানে যখন কেউ অর্ডার দেবে তখন আপনি একটি নোটিফিকেশন পাবেন। অর্ডারটি পর্যালোচনা করুন এবং গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করুন। এরপর অর্ডার প্রক্রিয়া করুন এবং পণ্যটি শিপ করুন।

৮. গ্রাহক সাপোর্ট প্রদান করুন:

গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন এবং তারা যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে তা সমাধান করুন। ভালো গ্রাহক সাপোর্ট আপনার ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই জাতিকইজি ব্যবহার করে আপনার অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

এবার আপনার মনে হতে পারে এত অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মস থাকতে কেন আপনি জাতিকইজি ব্যবহার করবেন?

জাতিকইজি ব্যবহারের কারণ এবং সুবিধাসমূহ ব্যাখ্যা করা একটি নির্দেশনামূলক চিত্র।

জাতিকইজি ব্যবহার করার প্রধান কারণ এবং উপকারিতা। | ছবি সংগৃহীত।

কারণ কোনো প্রকার টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই খুব সহজেই কেউ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজের অনলাইন দোকান তৈরি করতে পারবে। মূলত আপনি এটি ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা নিয়ে সকল স্বপ্ন খুব সহজেই পূরণের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও পণ্যের তালিকা তৈরি, অর্ডার পরিচালনা ইত্যাদি সব কাজ স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় ব্যবসায়ীরা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারবে। এছাড়া অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় জাতিকইজি অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী। এই প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা আরো দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে পারবে এবং বিক্রয় বাড়াতে পারবে।

এছাড়াও বর্তমানে যারা ফেসবুকে ব্যবসা করছেন তাদের বিভিন্ন পোস্ট কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া, ম্যাসেজের রিপ্লাই দেওয়া, বিজনেস প্রোমোশন সম্পর্কিত বিভিন্ন কন্টেন্ট পোস্ট করা এবং ম্যানুয়ালি বিভিন্ন অর্ডার নিয়ে সেটি ডেলিভারি সার্ভিসকে প্রোভাইড করা এসব কাজই সাধারণত বেশ অগোছালো ও সময় সাপেক্ষ। এমনকি পেজ থেকে কাস্টমার অনেকসময় দেখা যায় রিপ্লাইও পায়না। যেহেতু এই ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করেননা, তাদের কাজগুলো হয় ম্যানুয়ালি তাই তারা এধরনের অসুবিধার সম্মুখীন বেশি হন। এটি তাদের ব্যবসাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জাতিকইজি কিন্তু আপনাকে এই সকল অসুবিধা থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ দিবে।

জাতিকইজি একটি সহজবোধ্য এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি প্ল্যাটফর্ম এবং এটি আপনার ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। এটির সহজ সেটআপ, অটোমেটেড ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্য হওয়ায় এটিকে অনলাইনে ব্যবসা করার একটি আদর্শ পথও বলা যায়।

তাই আর দেরি কেনো? আজই জাতিকইজিতে যোগ দিন এবং আপনার ব্যবসার যাত্রা শুরু করুন!

“তথ্যসূত্র”

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

Previous article

কেন বিনিয়োগ করবেন বন্ডে

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *